,

হবিগঞ্জ-১ :: ঈগল না লাঙ্গল

স্টাফ রিপোর্টার : আজ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। হবিগঞ্জ-১ আসন বরাবরই ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ আসন ছেড়ে দেওয়ায় জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি এমএ মুনিম চৌধুরী বাবু ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি আমাতুল কিবরিয়া চৌধুরী কেয়ার মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে । তবে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভোটাদের মধ্যে নানা শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ভোটার উপস্থিতি নিয়েও আছে নানা প্রশ্ন। তবে এলাকার উন্নয়নে মানুষের কল্যাণে যে কাজ করবে তাকেই এমপি হিসেবে দেখতে চান সাধারণ ভোটাররা।
জানা যায়- নবীগঞ্জ-বাহুবল উপজেলা নিয়ে গঠিত হবিগঞ্জ-১ আসন। নৌকার ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই আসনে ১৯৯৬ সাল থেকে টানা তিনবার এমপি ছিলেন আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা প্রয়াত সাবেক মন্ত্রী দেওয়ান ফরিদ গাজী। ২০১০ সালে তিনি মারা যাওয়ার পর উপনির্বাচনে এই আসনটিতে এমপি হয়ে চমক দেখান বিএনপি নেতা শেখ সুজাত মিয়া। কিন্তু ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শরিক হিসেবে জাতীয় পার্টিকে এ আসনটি ছেড়ে দেয় আওয়ামী লীগ। তখন জাতীয় পার্টি হবিগঞ্জ জেলার তৎকালিন সাংগঠনিক সম্পাদক এম এ মুনিম চৌধুরী বাবু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ডা. রেজা কিবরিয়াকে পরাজিত করে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচিত হন দেওয়ান ফরিদ গাজীর ছেলে গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বর্তমান সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ মনোনয়ন বঞ্চিত হন। মনোনয়ন দেয়া হয় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ডাঃ মুশফিক হুসেন চৌধুরীকে। এরপর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন ডাঃ মুশফিক হুসেন চৌধুরী। পরে আসন সমঝোতায় ২৫ আসনের মধ্যে হবিগঞ্জ-১ আসন জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয় আওয়ামী লীগ। কপাল পুড়ে ডাঃ মুশফিকের। ফলে জাতীয় পার্টির মনোনীত ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত এম এ মুনিম চৌধুরী বাবু লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচন করছেন। লাঙ্গলের জয়ে বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী। ঈগল প্রতীকে শক্ত অবস্থানে আওয়ামী লীগের সাবেক সংরক্ষিত এমপি কেয়া চৌধুরী।
দিনব্যাপী উপজেলার ইনাতগঞ্জ, দিঘলবাক ও আউশকান্দি ইউনিয়নে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. শরিফুজ্জামান নেতৃত্বে ১০ সদস্যের বিজিবি টিম, দেবপাড়া, গজনাইপুর, পানিউমদা ইউনিয়নে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হুরে জান্নাতের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের বিজিবি টিম, নবীগঞ্জ পৌরসভা, কুর্শি, নবীগঞ্জ সদর, বাউসা, কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শাহীন দেলোয়ারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের বিজিবি টিম, বড় ভাকৈর (পশ্চিম), বড় ভাকৈর (পূর্ব), করগাঁও ইউনিয়নে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রনজিৎ চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের বিজিবি টিম দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়া স্টাইকিং ফোর্স ও সেনাবাহিনী এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশনায় কাজ করবে।
হবিগঞ্জ-১ আসনে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ইসলামী ঐক্যজোটের মোস্তাক আহমেদ ফারকানী, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের মো. নুরুল হক । এ আসনের মোট ভোটার ৪ লাখ ৩১ হাজার ৪২২ জন, এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ১৭ হাজার ৮৫৭জন ও নারী ভোটার ২ লাখ ১৩ হাজার ৫৬৩জন। মোট কেন্দ্র সংখ্যা ১৭৭টি। মোট ভোটকক্ষ ৯৫৬।


     এই বিভাগের আরো খবর